আইএইচআরসি (IHRC) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাজ্জাদ। তৃণমূল বার্তা।।
ইউরোপের ডেনমার্ক ভিত্তিক সর্ববৃহৎ মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (IHRC) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন। আইএইচআরসি ফাউন্ডেশন বোর্ডের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক অ্যাম্বাসেডর জনাব আইনুল হোসাইন তাকে এই নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক সাজ্জাদ সাম্প্রতিক কালে জাতিসংঘের গাইডলাইনে কাজ করা ভারত ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ভোক্তা অধিকার সংস্থা ইউসিপিএলআরএফ (বাংলাদেশ) এর নির্বাহী সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম নেপালের বাংলাদেশ শাখার নির্বাহী সদস্য, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল,
আন্তর্জাতিক ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি গ্লোবাল ন্যাশন ও ভারতের দৈনিক জয় বাংলা পরিবারের সদস্য। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম এভিয়েশন ক্লাবের একজন সম্মানিত সদস্য এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।
পেশাগত জীবনে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা ইতিহাদ এয়ারওয়েজের
( জিএসএ) চট্টগ্রাম অফিসের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক প্রগতিশীল রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মানবাধিকার নেতা, সমাজকর্মী জনাব মোহাম্মদ হোসেন (এমএসএস)। ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছেন স্ত্রী ফৌজিয়া খানম (ব্যাংকার) ও ছেলে আরিয়ান ওয়াসিফ হোসেন ।
জাতিসংঘ ও ইন্টারপোলের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের নেতৃত্বে আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জন্মের পর থেকে রাজনীতি ও মানব সেবাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।স্কুল জীবন থেকে মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকাণ্ড গুলো সাথে পরোক্ষ পরিচয় ছিল ।পরিবারের মধ্যে রাজনীতির ও সমাজসেবার পরিচর্যা ছিল নিয়মিত। কারণ আমার পিতা ষাটের দশকের শুরুতে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন । ১৯৬৪ইং সালে প্রথম রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরবর্তীতে থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৬ইং), প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক থানা শ্রমিকলীগ (১৯৭২ইং), প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি থানা আওয়ামী যুবলীগ (১৯৭৪ইং) ও সুদীর্ঘ সময় থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদকের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গুনিয়া থানা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । মানবাধিকার বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ''সেরা মানবাধিকার কর্মী -১৯৯৪ ইং'' সম্মাননা ও সনদ লাভ করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা মানবাধিকার সংস্থার জুরি ও আরবিটেশন বোর্ডের সম্মানিত সদস্য।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে তিনি জাতির মধ্যে শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মৌলিক মানবাধিকার নীতির অগ্রসর ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা ১৯৪৮ইং , বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং শোষিত, অধিকার বঞ্চিত মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবেন।